আল কুরআন
অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের মধ্য থেকে তাদের প্রতি একজন রাসূল পাঠিয়েছেন, যে তাদের কাছে তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করে আর তাদেরকে কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দেয়। যদিও তারা ইতঃপূর্বে স্পষ্ট ভ্রান্তিতে ছিল। সুরা আলে ইমরান (আয়াত-১৬৪)
এখনই দান করুন
"অর্থানুবাদ কুরআন মাজীদ বিতরণ প্রকল্প”
আলহামদুলিল্লাহ! সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের, যিনি বিশ্বময় এই বিপদসঙ্কুল পরিবেশেও আমাদেরকে খুব ভালো রেখেছেন। যেখানে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি মানুষ এই কঠিন বাস্তবতায় বিমর্ষতার প্রতিচ্ছবি। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে বিশ্বের প্রতিটি বিবেকবান মানুষ এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পেরেছে। প্রতিটি বাসা/বাড়ি যেন এক বিচ্ছিন্ন উপত্যকা, প্রতিটি দেশ/এলাকা যেন এক মৃত্যুপুরী, প্রতিটি ব্যক্তি যেন মরুভূমির দিকভ্রান্ত পথিক। হতাশা ও অস্থিরতার ঘোর অন্ধকারে আচ্ছন্ন করেছে চারিদিক। এই অমানিশায় শুধু তাকেই দেখেছি শান্ত আর নিশ্চিন্ত, যে তার রবের সাথে সম্পর্ক রেখেছে সুদৃঢ়। তাই আল্লাহ তাআ'লা মানবতার সুরক্ষার একমাত্র আশ্রয়স্থল।
আর তাঁর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের একমাত্র হাতিয়ার কুরআন মাজীদ। সেক্ষেত্রে সকল মুসলমানদের প্রতি আমাদের আন্তরিক আবেদন আপনারা সুখে-দুঃখে আপনাদের রবকে সাথে রাখুন, কুরআন মাজীদকে পাশে রাখুন। যা আপনাদের দুনিয়া-আখিরাতের সুনিশ্চিত সুরক্ষা। এমন সুরক্ষা যে, দুনিয়ার সকল কিছুর ধ্বংসের মুখেও আপনারা সুরক্ষিত, নিশ্চিন্ত। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার সেই মহান বাণী প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে “বিশ্বময় কুরআন, হাতে হাতে সাথে সাথে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে গঠন করা হয়েছে 'কুরআনিক ওয়ার্ল্ড'। আর এর প্রধানতম উদ্যোগ "বিনামূল্যে কুরআন মাজীদ বিতরণ প্রকল্প।"
আরও জানুনবিশ্ব পরিস্থিতি ও কুরআন মাজীদ নিয়ে কিছু কথা
জনসংখ্যা সংক্রান্ত
জাতীয় | আন্তর্জাতিক
বারবার
মাসিক
জাতীয়
আন্তর্জাতিক
সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা, একটু ভেবে দেখুন তো! জীবনের কতটা সময় আপনার পড়া-শুনা বা ক্যারিয়ার গঠনে ব্যয় করেছেন। কত শত পৃষ্ঠা বই পড়েছেন কিন্তু ছয়শত পৃষ্ঠার একটা কিতাব "কুরআন মাজীদ" অন্তত একবার পড়ার সময় পেয়েছেন কখনো! যা আপনার আখিরাতের ক্যারিয়ার গঠনে একমাত্র দলীল বা গাইডলাইন। আর দুনিয়াতে নিজেকে সমৃদ্ধ করার একমাত্র অবলম্বন। আপনার ক্যারিয়ার গঠনে প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়েন ১ ঘন্টা অথচ কুরআনের সাথে সময় দিতে পারেন না ১০টা মিনিটও। ভেবেছেন কখনো! কী হবে আপনার পরিণতি?
আপনার রব প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মূহুর্ত আপনার প্রতি দয়া ও রহমত বর্ষণ করছেন অবিরত। তার দয়া অনুগ্রহে আপনার জীবন হয় সমৃদ্ধ কিন্তু তিনি আপনার থেকে প্রতিদিন ১০ মিনিটও সময় পান না। অথচ আপনার মোবাইল ফোন ও আপনার জীবন বন্দনা আপনার থেকে কেড়ে নেই প্রতিদিনের অনেকটা সময়। তারপরও আপনার ফোনটি সবসময় আপনার সাথে থাকে এমনকি ঘুমের সময়ও। কিন্তু কুরআনের একটি কপি কখনই আপনার পাশে থাকে না। কী অবাক করা ব্যাপার তাই না !
